ক্রয় তালিকা

শিশুদের অস্থিরতা, ট্যানট্রাম আর বুলিং

শিশুদের অস্থিরতা, ট্যানট্রাম আর বুলিং: অভিভাবকদের এখনই ভাবার সময়

শিশুদের অস্থিরতা, ট্যানট্রাম আর বুলিং: আমাদের ভাবনার সময় এখনই

লেখক- ইলা আফরোজা

শিশুরা চঞ্চল প্রকৃতির হবে—এটা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, অনেক শিশু অতিরিক্ত মাত্রায় অস্থির হয়ে উঠছে। এটা আর সাধারণ চঞ্চলতা নয়, বরং সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

কেন শিশু অতিরিক্ত অস্থির হয়?

এর পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে—
1️⃣ অতিরিক্ত প্রসেসড ফুড ও চিনি জাতীয় খাবার
2️⃣ বাইরে তৈরি খাবার বেশি খাওয়া
3️⃣ ৩ বছর বয়সের আগেই টিভি বা মোবাইলের মতো স্ক্রিনে অভ্যস্ত হওয়া
4️⃣ বাবা–মায়ের কাছ থেকে যথেষ্ট সময় ও মনোযোগ না পাওয়া
5️⃣ বাইরে খেলার পরিবেশের অভাব
6️⃣ পরিবার ও অভিভাবকদের গাফেলতি

👉 প্রতিটি কারণই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনটাকেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।

এর ফল কী হয়?

শুধু অস্থিরতা নয়, ৬–৭–৮ বছরের শিশুরা একে অপরকে মারধর করা, বুলিং করা বা অবাধ্য আচরণ করতেও শুরু করে। আমরা অনেক সময় এসবকে তুচ্ছ ভেবে এড়িয়ে যাই এবং ভাবি—“বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে।”
⚠️ এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

একজন মানুষের বড় হয়ে কেমন আচরণ হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে ছোটবেলার শিক্ষা, পরিবেশ ও অভ্যাসের উপর।

টডলার বনাম বড় শিশু

টডলার বয়সে (২–৩ বছর) ট্যানট্রাম: স্বাভাবিক বিকাশের অংশ, কারণ তখনো আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখেনি।

৬–৮ বছরের অস্থিরতা বা বুলিং: এটিকে ট্যানট্রামের সাথে গুলিয়ে ফেললে বিপদ। এটা পরিবার ও সমাজের প্রভাবিত আচরণ, যেটা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

মা–বাবার দায়িত্ব কী?

👨‍👩‍👧

  1. শিশুকে সময় দিন – টাকার দম্ভ বা আভিজাত্য দেখিয়ে নয়, সত্যিকারের মনোযোগ দিয়ে।
  2. শিশুর খাদ্যাভ্যাস ঠিক করুন – ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার দিন।
  3. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন – বিশেষ করে ৩ বছরের নিচে কোনোভাবেই স্ক্রিন নয়।
  4. খেলার পরিবেশ তৈরি করুন – বাইরে দৌড়ানো, খেলা, প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে উৎসাহ দিন।
  5. ভালো শিষ্টাচার শিখান – ছোট থেকে সালাম, ধন্যবাদ, দয়া–সহানুভূতি শেখানো জরুরি।
  6. নিজেরা উদাহরণ হোন – শিশু বাবা–মায়ের ব্যবহার অনুকরণ করে। তাই নিজের আচরণেও সচেতন হতে হবে।
  7. ভালোবাসা ও শাসনের ভারসাম্য রাখুন – শুধু শাসন বা শুধু আদর, কোনোটিই একা যথেষ্ট নয়।

👉 আমাদের সমাজে এখনো অনেক মা–বাবা সন্তানের শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের চেয়ে টাকা, দামী পোশাক, মোবাইল বা নাম–যশ নিয়ে বেশি গর্ব করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে—
সন্তানের চরিত্র, শিষ্টাচার ও মানসিক স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের আসল মূলধন।

PhonicsForKids #ABCsoundশেখানো #PhonicsinBangla #ইংরেজি_শেখা #Phonicsবাংলা #বাচ্চাদেরইংরেজিশেখা #LearnEnglishKids #EnglishSound #PhonicsVideoBangla #Phonicsবাংলাভিডিও

Shopping Cart